জাত ও জাতের বৈশিষ্ট্য :
F1 সিঙ্গেল ক্রস হাইব্রিড ভূট্টা অধিক ফলনশীল ও লাভজনক। বারি হাইব্রিড ভূট্টা ১, বারি হাইব্রিড ভূট্টা ৫, বারি হাইব্রিড ভূট্টা ৬, সুপার সাইন ২৭৬০ ইত্যাদি।
মাটি :
বেলে-দোআঁশ ও দোআঁশ মাটি ও সুনিষ্কাশনযুক্ত জমি চাষের জন্য উপযোগি।
বপনের সময় :
বাংলাদেশে রবি মৌসুমে মধ্য-আশ্বিন থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (অক্টোবর-নভেম্বর) এবং খরিপ মৌসুমে ফাগুন থেকে মধ্য-চৈত্র (মধ্য-ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ) পর্যন্ত সময় বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।
সেচ প্রয়োগের পদ্ধতি :
উচ্চ ফলনশীল জাতের ভূট্টার আশানুরূপ ফলন পেতে হলে রবি মৌসুমে সেচ প্রয়োগ অত্যাবশ্যক। ৩-৪ টি সেচ দেওয়া যায়।
♦ প্রথম সেচ : বীজ বপনের ১৫-২০ দিনের মধ্যে (৪-৬ পাতা পর্যায়)
♦ দ্বিতীয় সেচ : বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে (৮-১২ পাতা পর্যায়)
♦ তৃতীয় সেচ : বীজ বপনের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে (মোচা বের হওয়া পর্যায়)
♦ চতুর্থ সেচ : বীজ বপনের ৮৫-৮৯ দিনের মধ্যে (দানা বাঁধার পর্যায়)
* ভূট্টার ফুল ফোটা ও দানা বাঁধার সময় কোনক্রমেই জমিতে যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সার ব্যবস্থাপনা :
সারের নাম : পরিমাণ/বিঘা
ইউরিয়া : ৬৫-৭০ কেজি
টিএসপি : ৩০-৩৫ কেজি
এমওপি : ২৫-৩০ কেজি
জিপসাম : ৩০-৩৫ কেজি
জিংক সালফেট : ১.৫-২ কেজি
বরিক এসিড : ১ কেজি
গোবর : ৫০০-৬০০ কেজি
সার প্রয়োগ পদ্ধতি :
জমি তৈরির শেষ পর্যায়ে অনুমোদিত ইউরিয়া সারের এক তৃতীয়াংশ এবং অন্যান্য সারের সবটুকু ছিটিয়ে জমি চাষ দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া সমান দুই কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তি বীজ গজানোর ২৫-৩০ দিনপর এবং দ্বিতীয় কিস্তি গজানোর ৪০-৫০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। চারা গজানোর ৩০ দিনের মধ্যে জমি থেকে অতিরিক্ত চারা তুলে ফেলতে হবে। চারার বয়স এক মাস না হওয়া পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
ভূট্টা সংগ্রহ :
দানার জন্য ভূট্টা সংগ্রহের ক্ষেত্রে মোচা চকচকে খড়ের রং ধারণ করলে এবং পাতা কিছুটা হলদে হলে সংগ্রহের উপযুক্ত হয়। এ অবস্থায় মোচা থেকে ছড়ানো বীজের গোড়ায় কালো দাগ দেখা যাবে। ভূট্টা গাছের মোচা ৭৫-৮০% পরিপক্ব হলে ভূট্টা সংগ্রহ করা যাবে। বীজ হিসেবে মোচার মাঝামাঝি অংশ থেকে বড় ও পুষ্ট দানা সংগ্রহ করতে হবে।
ফলন:
হাইব্রিড সিঙ্গেল ক্রস ভূট্টার ফলন রবি মৌসুমে ১০-১১ টন/হেক্টর এবং খরিপ মৌসুমে ৭-৭.৫ টন/হেক্টর।
Powered by Facebook Comments