মোছাঃ মিনারা বেগম। বয়স ৫৫। বাড়ি ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউনিয়নে।মাত্র কয়েক বছর আগেই ঠিকমত তিনবেলা খেতে পারতেন না। দিনমজুর স্বামীর আয়ে ঠিকমতো চলতো না সংসার। কয়েক বছর আগে ছাতক উপজেলায় কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলা উদ্দিনের পরামর্শে বাড়ির আঙ্গিনায় শুরু করেন সব্জিচাষ।সঠিক পরামর্শ আর নিরলস পরিচর্যায় প্রথম বছরেই আসে সাফল্য। এরপর থেকে দারিদ্রতা আর তাকে দমাতে পারে নি।
পরের বছর থেকে অন্যের জমিতে চাষ করে আসছেন ক্ষিরা, লাউ, বরবটিসহ নানান ফসল।
এবারো ১ বিঘা জমিতে মাত্র ৮০০০ টাকা খরছ করে বিক্রি করেন ৩০০০০ টাকার ক্ষিরা।
তিনি বলেন, কৃষি অফিসের স্যারের (উপসহকারী কৃষি অফিসার) পরামর্শ মতো চাষাবাস করেছি, যখন যে সমস্যা হয়েছে উনাদের পরামর্শ নিয়েছি তাই আমার লাভও বেশি হইছে। আগে ঠিকমত তিনবেলা খাইতে পারতাম না। এখন বছর বছর লাভের টাকা দিয়ে দালান ঘর করেছি। আমি চাই এবার নিজে জমি কিনে চাষ করবো।
একাজে তার স্বামীও নিজের কাজের পাশাপাশি তাকে সাহায্য করেন।
সফল মিনারা বেগমকে দেখে এলাকার আরো অনেকেই সব্জিচাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
মিনারাকে নিয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ এনামুল ইসলাম পারভেজ বলেন, মিনারা বেগম খুবই সৎ,পরিশ্রমী ও সচেতন কৃষাণি। নতুন প্রযুক্তি ও পদ্ধতি গ্রহনে খুব আগ্রহী। আমি মিনারার সমৃদ্ধি কামনা করি এবং মিনারার মতো উদ্যোগি কৃষক-কৃষাণিদের এগিয়ে আসার আহ্বান করছি। আমরা সাধ্যমতো সব সহযোগিতা করবো।
Powered by Facebook Comments