১৮ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্কয়ার হাসপাতালের মুখপাত্র ডাক্তার মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চুকে তার ড্রাইভার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখনই আমরা ধারণা করেছিলাম যে, তিনি হয়তো মারা গেছেন। কেননা তখনই তার মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। তবুও আমাদের ডাক্তারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল তার দেখাশোনা করে এবং সকাল ৯টটা ৫৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (আইয়ুব বাচ্চু) দীর্ঘদিন ধরে হার্টের প্রবলেমে ভুগছিলেন। তার হার্টের কার্যক্ষমতা ছিল ৩০%। সর্বশেষ তিনি গত সপ্তাহে স্কয়ার হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে তার মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। এর আগে ২০০৯ সালে তিনি হার্টে রিং পরিয়েছিলেন।’
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন গুণী এ শিল্পী। সংগীত জীবনের দীর্ঘ চার দশকে অসংখ্য হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গান আইয়ুব বাচ্চু উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। তার সৃষ্টি অনেক গান মানুষের আন্তরে গেঁথে আছে।
আইয়ুব বাচ্চুর সংগীত জগতে যাত্রা হয় ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি নামেও পরিচিত তিনি। ডাক নাম রবিন। মূলত রক ঘরানার কণ্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক, ক্লাসিকাল ও লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি। ১৯৯১ সালে জন্ম নেওয়া ‘এলআরবি’ ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি প্রায় দশ বছর সোলস ব্যান্ডের সঙ্গে লিড গিটারিস্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
তার কণ্ঠে গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘চলো বদলে যাই’, ‘রূপালি গিটার’ ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’ ‘ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘হকার’ ‘অবাক হৃদয়’ ‘আমিও মানুষ’ ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘সুখ’, ‘মন চাইলে মন পাবে’সহ অসংখ্য গান।
Powered by Facebook Comments