যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে….। দুই দিকই যে দক্ষভাবে সামলে চলে, তাঁর উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রায়ই আমরা এই প্রবাদটি ব্যবহার করি। যদিও এখনকার ব্যস্ততম সময়ে এটা মেনে চলা বেশ কষ্টকর। বিশেষত অফিস ও বাসায় সময় দেওয়ার ব্যাপারেই হিমশিম খেতে হয়। দুটোর মধ্যে একটা সামঞ্জস্য বজায় রাখার চেষ্টা করতে করতে হাঁপিয়ে উঠি। বাসা ও অফিসের মধ্যে কিভাবে কাজের সমন্বয় করবেন?সেই ক্ষেত্রে কিছু কৌশল শেয়ার করা হল আপনাদের সাথে।
অফিস ও বাসার মধ্যে একটা সুনির্দিষ্ট দেওয়াল তুলে দিন
বাসা এবং অফিস সম্পূর্ণ আলাদা রাখতে হলে চেষ্টা করবেন অফিসের কাজ বাসায় না নিয়ে আসার। কাজ বাকি থাকলে আপনি কোন কফিশপে বসে শেষ করতে পারেন। তাহলে যতক্ষণই বাসায় থাকুন না কেন, থাকবেন স্বস্তির সাথে।
কাজের ক্ষেত্রে নিজেকে চিন্তামুক্ত করুন
কাজের ব্যাপারে রিল্যাক্স করুন। অনেক সময় আমরা কাজ শেষ করেও বাসায় এসে কাজ নিয়ে চিন্তিত থাকি। যা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে মূল্যবান সময় নষ্ট করে দেয়। অফিসের কাজগুলোর চেকলিস্ট তৈরি করুন এবং যেসব কাজ শেষ হয়েছে তা কেটে দিন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাজের প্রোগ্রেস চেক করতে পারেন।
পরিকল্পনার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন
একটা সুন্দর পরিকল্পনা করুন। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে আপনি আপনার কাজের ট্র্যাক রাখতে পারেন। এতে মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়।
শুধু অফিসের কাজের নয় বরং আপনার ব্যক্তিগত জীবনের কাজেও নিয়ে আসুন একটা সুন্দর কাঠামো।
প্রায়োরিটি সেট করুন
ওয়ার্ক-লাইফ ও পার্সোনাল লাইফ এই দুটোয় সামঞ্জস্য বা থাকার কারন কি জানেন? প্রধান কারন হচ্ছে আমরা সঠিকভাবে প্রায়োরিটি সেট করতে পারি না। অফিসের কাজ যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি পারিবারিক জীবনেরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে। গুরুত্ব অনুযায়ী কাজকে প্রাধান্য দিন। দুটোই লিস্ট অনুযায়ী করলে উভয় পক্ষকে ব্যাল্যান্স করতে পারবেন।
সময় ব্যবস্থাপনা
সময় ভাগ করে নিন। কখন কোন কাজ করবেন? আর কোন কাজে কতটুকু সময় দিবেন? খেয়াল রাখবেন অফিসের কাজকে বেশি প্রাধান্য দিতে গিয়ে পরিবারের প্রতি আপনার কোনরকম অনিহা না প্রকাশ পায়।
Powered by Facebook Comments