কৃষি বিভাগ কি করছে??
কোন মেয়ের মন পাওয়ার জন্য যেমন তাকে আলতোভাবে আদরের সাথে স্নেহাশীষ সুরে প্রেম নিবেদন করতে হয় ঠিক তেমনি একজন কৃষককে সম্মানের সাথে ফসলের লাভ-ক্ষতির হিসাব দিয়ে ফসলের বিপদ আপদে থাকার কথা বলে ইহকাল পরকালের চিন্তা ভাবনা করে তাকে রাজি করাতে হয় (বন্দুক, লাঠি দিয়েও যেখানে মানুষকে বুঝিয়ে রাখা যায়না সেখানে একমাত্র মুখের বাণীই হল কৃষককে নতুন কাজে মোটিভেট করার একমাত্র হাতিয়ার)। আর এই অসাধ্য, দুর্দান্ত, দুর্ভেদ্য, দুর্জয় ,অসামান্য ও অসাধারণ কাজটা করে কিন্তু কৃষি বিভাগের সর্বোচ্চ কর্তা মহাপরিচালক থেকে মাঠে পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি অফিসার পর্যন্ত ১৭ কোটি মানুষের “খাদ্য নিরাপত্তার অতন্দ্র প্রহরীরা” ।
আপনি হয়তো আজ – আগামীকালের খাওয়ার চিন্তা করেন । কিন্ত কৃষি বিভাগের এই সৈনিকেরা চিন্তা করে ২০৩০,২০৫০ ও ২১০০ সালে আপনার বংশধর কি খাবে । আপনি নিজেও জানেন না যে আপনি বছরে ১৬৪ কেজি চালের ভাত খান । ২০৩০ সালে আপনি ১৩৩ কেজি চালের ভাত খাবেন । প্রতি বছর বাংলাদেশে ২২ লাখ মানুষ যোগ হচ্ছে আর জমি কমছে ০.৭ ভাগ হারে । বর্তমানে খাদ্য লাগছে ৩ কোটি ৮২ লাখ মে.টন আর ২০৫০ সালে লাগবে ৪ কোটি ৫০ লাখ মে.টন । তখন খাদ্য উৎপাদন হবে ৬ কোটি মে .টন । এত জমি কমার পর আর এত মানুষ যোগ হওয়ার পরেও ১ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকবে!! এই কৃতিত্ব, এই অর্জনের জন্য কৃষিবিদ-ডিপ্লোমা কৃষিবিদ, কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি গবেষক, কৃষি বিজ্ঞানী ও সর্বোপরি কৃষি বিভাগকে ধন্যবাদ দিতেই হবে ।
কৃষকরা হলো আমাদের দেশের আসল নায়ক বলতে গেলে পুরো পৃথিবীর । আপনি আমি মনোরঞ্জনের জন্য যে শ্যুটিং করি তা তাদের উপকরণ সঠিকভাবে সরবরাহ করার জন্য। তারা না থাকলে নায়িকারা কাছে আসতো না। আর কৃষি বিভাগ প্রযোজক আর পরিচালকের ভূমিকা পালন করে ।
কৃষি বিভাগ হলো – নীরব বিপ্লবের মহান কারিগর।
কৃষিই সমৃদ্ধি।
Powered by Facebook Comments