গিনেজ বুকে নাম লেখানোর আগেই মারা গেল আশুলিয়ার ছোট গরু ‘রাণী’। আর এক থেকে দেড় মাস হলেই গিনেজ বুকে নাম যুক্ত হতো রানীর। ‘রানী’র উচ্চতা ছিল ২০ ইঞ্চি ও ওজন মাত্র ২৬ কেজি।
সাভারের আশুলিয়ার কুরগাও চারিগ্রাম এলাকার শিকড় অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ গরু ‘রানী’ মারা গেছে। বক্সার ভুট্টি জাতের এ খর্বাকৃতির গরুটির পেটে গ্যাস জমে মারা গেছে বলে জানা গেছে।
তবে গিনেস বুক রেকর্ডের অপেক্ষায় থাকা সাভারের খর্বাকৃতির গরু রানী মৃত্যু নিয়ে পাল্টা পাল্টি বক্তব্য দিচ্ছেন গুরুটির মালিক ও উপজেলা প্রাণী চিকিৎসক।
মালিক বলছেন, গরুটি বেচে আছে তবে অসুস্থ হয়েছে। তবে চিকিৎসক বলছেন, অতিরিক্ত দানাদার খাবার হজম করতে না পাড়ায় গরুটি আজ দুপুরে মারা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে শিকড় এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান গুরুটি বেচে থাকার কথা জনিয়েছেন।
অপর দিকে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও উপজেলা পশু হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুল মোতালিব।
শিকড় এগ্রো ফার্মের ব্যবস্থাপক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘রানীকে বিভিন্ন সময় চুরির চেষ্টা চালানো হয়েছে। এছাড়া অনেকেই দেখতে আসেন। এসব কারণে তার নিরাপত্তা হুমকি ছিলো। সম্প্রতি রানীর মতো আরেকটি গরুও আনা হয়েছে এখানে। নতুন গরু আনার পর রানীকে আরেক ঘরে নেয়া হয়েছে। ওখানে নেয়ার পরেই রানী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে মারা যাওয়ার খবরটি গুজব। ছোট গরু হওয়ায় অনেক সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পেট ফুলে যায়। তবে ফের সুস্থ হয়ে যায়। এটা নিয়মিত প্রক্রিয়া।
অন্য দিকে সাভার উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব বলেন, মূলত গরুটি দুই-তিন দিন থেকে অসুস্থ। সেই এগ্রো ফ্রার্মের নিজস্ব ডাক্তার দ্বারা এতো দিন চিকিৎসা করেছে। পরে গুরুটির অবস্থার অবনতি হলে সাভারে পশু হাসপাতাল আনে আজ দুপুরে। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় আধাঘন্টা পরেই গরুটির মৃত্যু হয়। মূলত গরুটির খাবারে সমস্যা হওয়ার কারণে মারা গেছে। যাকে বলে ফুট পয়জন। ছোটো গরু হিসেবে দানাদার খাবারটা একটু বেশি দিয়ে ফেলার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিলো।
Powered by Facebook Comments