ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ডিকেআইবি) এর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও বর্তমান বিভক্তি নিয়ে নিজস্ব মতামত তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ডিপ্লোমা কৃষিবিদ নেতা জিয়াউল হায়দার হাসেমী পলাশ।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ডিকেআইবি) এর সাবেক সফল সভাপতি জিয়াউল হায়দার পলাশের ফেসবুক পোস্টটি নিচে তুলে ধরা হলো-
‘২০০৪ সালে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদ সোসাইটি বিলুপ্ত করে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ গঠন করলে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে চলমান ছিল। এ সময়ের মধ্যে জাতি অর্জন করেছে অনেক দাবি-দাওয়া।
২০১৮ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নেতৃবৃন্দের মধ্যে দেখা দেয় মতবিরোধ এবং সাথে সাথে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নেতৃবৃন্দগণ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। জাতির ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শুরু হয়।
২০২১ সাল থেকে আমি অদ্যাবধি বহু চেষ্টা করেও সকল গ্রুপকে এখনো একত্রিত করতে পারি নাই। এর মধ্যেই সম্প্রতিক সময়ে জনাব আবুল কাশেম সাহেব ডিকেআইবি’র নির্বাচন ঘোষণা করলেন। কিন্তু তিনি সকল গ্রুপকে একত্রিত করে সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন নাই। ফলে কেন্দ্রীয় বিবাদমান নেতৃত্বের মধ্যে আস্থার অভাবের কারণে আমরা দুইটি তফসিল ঘোষণা হতে দেখেছি।
এতে প্রতিয়মান হয় এ জাতি আনুষ্ঠানিকভাবে দুইটি সংগঠনে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই আজকে দুঃখের সাথে বলতে হয় আমরা এই ভাঙ্গনের দায়ভার নিতে পারি না। এমতাবস্থায় আমরা এই নির্বাচন থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকায় অবস্থানে অযোগ্য ব্যক্তি, লোভী, একগুঁয়েমি, সাধারণ সদস্যের সমর্থন বিহীন সহজে নেতা হওয়া মানসিকতা সম্পন্নরা আজ এই নেতৃত্বের মধ্যে বিরাজ করছে।
তাই আমরা আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি তফসিলের মাধ্যমেই মূল ধারায় সকল সদস্যের অংশগ্রহণ মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা হলে আমরা সমর্থন দেব এবং অংশগ্রহণ করবো।
আমার বিশ্বাস জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আমার সাধারণ সদস্য ও নেতৃবৃন্দরা এখনো ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। অতএব আপনাদের এ ঐক্যবদ্ধতা অটুট রাখতে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
খুব অল্পসময়ের মধ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ আশায় আজ এই পর্যন্তই।’
উল্লেখ্য, ডিকেআইবি কেনিক ও আহ্বায়ক কমিটির ব্যানারে দু’পক্ষ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছে।