আমাদের অস্তিত্ব, আর্থসামাজিক অবস্থা, আমাদের জীবন, অর্থনীতি, পর্যটন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নদীর ওপর নির্ভরশীল। তাই নদীভিত্তিক জীবন, অর্থনীতি ও পর্যটন সম্পর্কে গভীর জ্ঞান এবং পরিণত উপলব্ধি আধুনিক মানুষের পূর্ণাঙ্গতার অপরিহার্য ভিত্তি। নদী এবং পরিবেশ সম্পর্কে উন্নত এবং স্পষ্ট ধারণা, নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার, নদীর সুরক্ষা ও সংরক্ষণের নিয়ম জেনে সমাজের প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো এবং সর্বোপরি নদীর সাথে স্বাস্থ্যকর সহাবস্থানের ক্ষেত্রে আমাদের প্রয়োজনীয় অন্তর্দৃষ্টি তৈরী করে থাকে। আমাদের এই অন্তর্দৃষ্টি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা শৈশব থেকেই শুরু হওয়া উচিৎ। বলাবাহুল্য আমাদের প্রচলিত শিক্ষা-ব্যবস্থা বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সেই অন্তর্দৃষ্টি গড়ে তোলার জন্যে যথেষ্ট নয়। তাই উপরোক্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্যে আমাদের অনুসন্ধিৎসাকে নদীর বিস্তৃত পরিম-লে নিয়ে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক এবং কার্যকর একটি পদ্ধতি হল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ পাঠচক্র, বিষয়ভিত্তিক আড্ডা ও ক্যাম্পেইনসহ নদী বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা।
সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এ বছর ২০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে নদী বিষয়ক সচেতনতামূলক পাঠচক্র ‘এসো নদীর গল্প শুনি’। প্রাথমিকভাবে ২০ টি জেলার ১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের লক্ষ্য। পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগের সকল জেলায় এটি বিস্তৃত হবে। আর এ পাঠচক্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে নদীর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, নদীর বাস্তুতন্ত্র, নদীর স্বাস্থ্য, নদীর বহুমাত্রিক ব্যবহার, নদী পর্যটন, নদী অর্থনীতি, নৌপথ, নদী ও শিল্পোন্নয়ন, নদী নেতৃত্ব ও নদীর ভবিষ্যত, নদীর প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে। শিক্ষার্থীদের মতামত, বিশেষজ্ঞ আলোচনা এবং পর্যালোচনা, বিষয়টি সম্পর্কে উপস্থিত সকলের নানা অস্পষ্টতাকে দূর করতে সহায়তা করবে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের জন্যে আয়োজন করতে যাচ্ছি নদীভিত্তিক সচেতনতা তৈরীর পাঠচক্র ‘এসো নদীর গল্প শুনি’। এটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নদী বিষয়ে গভীর অন্তর্দৃষ্টি গড়ে তোলার একটি সমন্বিত প্রয়াস।
আপনিও আমাদের এই প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হোন।
ছবিঃ কক্সবাজার জেলায় অনুষ্ঠিত পাঠচক্র
Powered by Facebook Comments