নাটোরে প্রণোদনার কৃষি উপকরণ না পেয়ে ইসরাত জাহান ইমন নামে এক উপসহকারী কৃষি অফিসারকে রডের আঘাতে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মিলন নামে এক কৃষকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের একডালা নারায়ণপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত ওই কৃষি কর্মকর্তা বর্তমানে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় কৃষকদের জন্য সরকারের প্রণোদনা আসে। সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে কৃষকদের দিয়ে থাকি। নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বুধবার একডালা নারায়ণপাড়ার মাঠে একজন কৃষকের ফসল দেখতে যাই। সেখানে গেলে মিলন নামে আরেক কৃষক আমার কাছে আসে এবং জানতে চায় কেন তাকে এ বছর প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। আমি তাকে বুঝিয়ে বলেছিলাম যে, নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রণোদনা আসে, তাই এগুলো পর্যায়ক্রমে সব কৃষকদের দিতে হয়। এর আগে দেওয়া হয়েছে, আবার সামনে পাবেন।
প্রণোদনা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ওই কৃষক আগে থেকেই রেগে ছিলেন জানিয়ে ইসরাত জাহান ইমন বলেন, বোঝানোর একপর্যায়ে ওই কৃষক ক্ষেপে গিয়ে তার হাতে থাকা রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করেন। এরপর স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়।
নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত উপসহকারী কৃষি অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট কৃষক বিভিন্ন সময়ে কৃষি বিভাগের প্রণোদনা প্রদর্শনীসহ নানান সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু তিনি এবারও একটি প্রদর্শণী দাবি করে বসেন। যেটা পাওয়ার জন্য ওই কৃষক উপযুক্ত নয় বিধায় প্রদর্শণীটি দিতে অপারগতা জানানো হয়। যার দরুন কৃষক মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে এই কৃষি কর্মকর্তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
এছাড়াও হামলাকারীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোরের উপপরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। বর্তমানে আহত নারী কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উপজেলা অফিস তার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছে। এ বিষয়ে আইনগত সব সহযোগিতা করা হবে তাকে।
নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি তিনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।