মুক্তমত

ফল রপ্তানিতে আধুনিক প্যাকিং হাউজ ও ল্যাবের স্মার্ট কার্যক্রম

ড. শামীম আহমেদএ. কে. আজাদ ফাহিম

সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা আমাদের প্রিয় এই দেশ, বাংলাদেশ। ষড়ঋতুর এই সবুজ-সজীব স্বদেশটাকে ভালো না বেসে থাকার উপায় নেই। প্রতিটি ঋতুরই আছে আলাদা রূপবৈচিত্র্য। ভালো লাগা জাগানিয়া স্বতন্ত্র চিহ্ন আর ফল-ফসলের সমৃদ্ধতা।

আমাদের দেশে প্রায় সব ঋতুতেই কমবেশি ফলমূল পাওয়া যায়। কৃষিতে গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণের উৎকর্ষতার বদৌলতে ফলের নিত্যনতুন জাত উদ্ভাবন এবং এর ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে সারাদেশে। এ ছাড়া ফলের মৌসুমও দীর্ঘায়িত হয়েছে। একসময়ের পারিবারিক চাহিদা পূরণের ফল উৎপাদন পদ্ধতি এখন রূপান্তরিত হয়েছে বাণিজ্যিক ফল উৎপাদনে।

এদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মূলে রয়েছে মাটি ও মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম অবলম্বন কৃষি। এ মহান পেশাতে শিক্ষিত তরুণদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশে গড়ে উঠেছে বাণিজ্যিক ফলের খামার। এটি আমাদের আশার সঞ্চার করলেও এতে রয়েছে নানা ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ। কাছাকাছি সময়ে অনেক ফলের উৎপাদনের কারণে প্রথমত কৃষকরা উচ্চমূল্য ফসল ফল উৎপাদন করেও ন্যায্যমূল্য পায় না। সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি অনুশীলনের অদক্ষতা ও মৌসুমে বাজারে চাহিদার তুলনায় ফলের জোগান বেশি থাকায় এর একটা বড় অংশ নষ্ট হয়ে যায় বা পঁচে যায়। এতে কৃষকদের পাশাপাশি দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের দেশীয় অর্থনীতি। এছাড়া মৌসুমে ফলের সহজপ্রাপ্যতা থাকলেও অফসিজনে দেখা দেয় ব্যাপক ঘাটতি। তখন জনগণের ফলের চাহিদা পূরণের জন্য আমদানি করতে হয় বিদেশি ফল। এতে প্রতি বছরে এখাতে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হচ্ছে। টেকসই কৃষি উৎপাদনের ধারায় বাণিজ্যিকীকরণ বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। রপ্তানিমুখী কৃষির কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য দরকার গুণগত মান নিশ্চিত করে আকর্ষণীয় প্যাকেজিং দিয়ে প্রক্রিয়াজাত মূল্য সংযোজনমূলক কৃষি উৎপাদনকে উৎসাহিত করা।


দেশের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টাও ইতোমধ্যে জোরদার হয়েছে। গত এক দশকে বাংলাদেশ থেকে তাজা ফল ও সবজির রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই ধারা বজায় রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশসমূহে কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অ-সম্মতি (Non Compliance) এর মাত্রা কমানোর লক্ষ্যে EU চাহিদার ভিত্তিতে ২০১৪ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক থেকে পূর্বদিকে শ্যামপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নিজস্ব কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে কয়েকটি নতুন আইটেমসহ প্রায় শতাধিক কৃষিপণ্য সফলতার সাথে সর্বনিম্ন অ-সম্মতি (Non Compliance) এর মাধ্যমে ইউরোপের ১৪টি দেশে রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এ রপ্তানির পরিমাণ ও পণ্যের সুনাম ওই সব দেশে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যেসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে তার মধ্যে ফলের অবদান অন্যতম। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে সর্বাধিক রপ্তানিকৃত ফলের পরিমাণ মেট্রিক টন সারণি দ্রষ্টব্য।

সারণি : রপ্তানিকৃত ফলের পরিমাণ

ফলের নাম – পরিমাণ (মে. টন)
কাঁঠাল – ১২৯৮.৭৪
আম – ৯৬৩.৩৯
লেবু জাতীয় – ৫১৪.০৭
বরই – ১৪১.৯৩
লিচু – ৪২.১০

আমাদের দেশের ফলমূল বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হলে নিসন্দেহে কৃষকরা লাভবান হওয়ার মাধ্যমে দেশও সমৃদ্ধ হবে। বর্তমানে আমাদের দেশের বেশির ভাগ পণ্যসামগ্রী বিদেশের এথনিক মার্কেটে (বাঙালি পরিচালিত) স্থান পায়। এসব পণ্যকে বিদেশের প্রাইম মার্কেটে প্রবেশ করাতে পারলে রপ্তানির পরিমাণ যেমন ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে পাশাপাশি উচ্চমূল্য পাওয়ার সুযোগও বহুগুণে বেড়ে যাবে। এ জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা বাড়াতে এক্রিডিটেড ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।
উন্নত বিশ্বের মূল বাজারে রপ্তানির জন্য ফলমূল ও শাকসবজি ল্যাবে টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সার্টিফিকেট প্রদান করার বাধ্যবাদকতা রয়েছে। কৃষি পণ্য উৎপাদন, উপকরণ এবং কৃষিজাত খাদ্যের গুণগতমান নিশ্চিতের লক্ষ্যে গবেষণাগারে পরীক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়টি উপলব্ধি করে উক্ত ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ ও এক্রিডিটেশন করার পাশাপাশি প্যাকিং হাউজের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজন বিধায় কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ, শ্যামপুরে স্থাপিত উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল্যাবরেটরিতে রূপান্তর (১ম সংশোধিত) প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
এই গবেষণাগারের প্রতিটি শাখা প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত সংখ্যক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং বায়োসেফটি ইকুইপমেন্ট দ্বারা সজ্জিত করা হবে। গবেষণাগারটি ISO/IEC 17025:2017 মানদনণ্ড অনুযায়ী পরিচালিত হবে। কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে ইতোমধ্যে ১০টি ল্যাবরেটরি স্থাপনের কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

গবেষণাগারের কার্যক্রমঃ

ব্যাকটেরিওলজি ল্যাবরেটরি : এ ল্যাবরেটরিতে আমদানি ও রপ্তানিযোগ্য সকল ধরনের কৃষিজাত পণ্যের রোগজীবাণু শনাক্ত করা হবে পাশাপাশি প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টইন সর্টিফিকেট পেতে ভূমিকা রাখবে। নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করে নমুনা পাঠানোর সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে কৃষক, আমদানিকারক, রপ্তানিকারক অথবা প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন উইং এর পরিদর্শক ল্যাবরেটরিতে পাঠাবে। ল্যাবরেটরিতে প্রচলিত পদ্ধতির পাশাপাশি দ্রুত শনাক্তকরণ কৌশল ও সর্বশেষ আইকনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার হবে।

ভাইরোলজি ল্যাবরেটরি : গবেষণাগারের এ শাখায় রপ্তানিযোগ্য কৃষিজাত পণ্যের বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস জনিত রোগ শনাক্ত করা হবে। যেমন- ঢেঁড়সের মোজাইক ভাইরাস, টমেটোর উইল্ড ভাইরাস, হলুদের লিফকার্ল ভাইরাস, ফুলকপির মোজাইক ভাইরাস, কাঁকরোলের মোজাইক ভাইরাস, লাউয়ের লিফকার্ল ভাইরাস ইত্যাদি রোগ শনাক্তকরণ করা হয়।

মলিকুলার বায়োলজি ল্যাবরেটরি : উদ্ভিদ রোগ জীবাণু শনাক্তকরণে মলিকুলার মেথোড ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শনাক্তকরণের জন্য এ মলিকুলার টেকনোলজি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় রোগবালাই শনাক্ত করা হবে, এ ছাড়াও উক্ত ল্যাবে উদ্ভিদের স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা এবং জিনগত বিশ্লেষণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

মাইকোলজি ল্যাবরেটরি : এ ল্যাবে কৃষিজাত সকল পণ্যসহ বিভিন্ন শাকসবজি ফলমূল ইত্যাদিতে বিদ্যমান সকল ধরনের ছত্রাক শনাক্ত করা হবে। মাটি, পানি, কাণ্ড, শিকড়, ফল, পাতাসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট যে কোন ধরনের নমুনা থেকে ছত্রাক শনাক্ত করা হবে। উক্ত ল্যাবে ছত্রাক আইসোলেশন, কালচার করা, আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি, ইনকিউবেশন ইত্যাদি সুবিধার পাশাপাশি ছত্রাক স্পেরুলেশন করা হবে। যা কৃষিজাত পণ্যের আমদানি ও রপ্তানির জন্য ফাইটোস্যানিটারি সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে।

বিসিএ এবং এলএমও ল্যাবরেটরি : এ ল্যাবরেটরিতে মূলত জেনেটিক্যালি পরিবর্তিত বিভিন্ন শাকসবজি ও ফলমূল পরীক্ষা করা হবে। জেনেটিক্যালি মডিফাই করা পণ্য পরীক্ষা করে দেখা হবে গুণগত মান এর পরিবর্তন হয়েছে কিনা এবং রপ্তানি ঝুঁকি আছে কি না তা যাচাই করা হবে। এ ল্যাবের গুরুত্বপূর্ণ মেশিনে বিভিন্ন পণ্যের ও পণ্যের প্যাথোজেনের সিকুয়েন্স বিশ্লেষণ করা হবে এবং পণ্যের বর্তমান ও পরিবর্তিত রূপ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া এ ল্যাবে বায়ো কন্ট্রোল এজেন্টের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে। বর্তমান কৃষিতে কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই নিয়ন্ত্রণের জন্য জৈব এজেন্ট ব্যবহারের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে। জৈব কীটনাশক এবং বালাইনাশক ব্যবহার করে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করা হবে। উক্ত ল্যাবে রপ্তানিযোগ্য কৃষি পণ্যের র‌্যাপিড ডিটেকশান কীট এর মাধ্যমে দ্রুত পরীক্ষা করা হবে।

ইনসেক্ট ডায়গোনোসিস ল্যাবরেটরি : গবেষণাগারের এ শাখায় সকল ধরনের পোকামাকড়সহ অন্যান্য প্রজাতির কীটপতঙ্গ প্রচলিত চাক্ষুস শনাক্তকরণের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও শনাক্ত করা হবে। এ ল্যাবে যেসব পোকামাকড় শনাক্ত, যেগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে উদ্ভিদের ক্ষতি করে এবং রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। যেমন- ফল আর্মিওয়ার্ম, বিভিন্ন প্রকার মথ, পঙ্গপাল, মিলিবাগ, ফল ও সবজির মাছি পোকা ইত্যাদি।

নেমাটোলজি ল্যাবরেটরি : নেমাটোডের মাধ্যমে ফসলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। নেমাটোড মূলত ফসলের কান্ড, শিকড় ও পাতায় আক্রমণ করে, ফলে উৎপাদন ও গুণগত মানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। ফসলের উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকায় কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি বা আমদানিতে নেমাটোড শনাক্ত করা জরুরি। এ ল্যাবে তাজা শাকসবজি ও ফলমূল আমদানি ও রপ্তানি অনুমতি দানের পূর্বে নেমাটোড শনাক্ত করা হবে। উক্ত ল্যাবে সকল ধরনের নেমাটোড, ভার্মিফর্ম, সিস্ট গঠনকারী নেমাটোড এবং উদ্ভিদের পরজীবী নেমাটোড পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিশ্লেষণ করা হবে।

উইড আইডেন্টিফিকেশন ল্যাবরেটরি : আগাছা উৎপাদিত ফসলের গুণগত মান নষ্ট করে। প্রতি বছর কৃষককে তার জমিতে জন্মানো বিভিন্ন ধরনের আগাছা দমনে একটা বড় ধরনের অর্র্থ খরচ করতে হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে আগাছার বিভিন্ন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও উক্ত ল্যাবে আমদানি ও রপ্তানির মাধ্যমে এক দেশ থেকে অন্য দেশে আগাছার বিস্তার রোধে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আধুনিক মাইক্রোস্কোপ দ্বারা প্রাথমিকভাবে আগাছা শনাক্ত করা হবে।


কেমিক্যাল ল্যাবরেটরি : এ ল্যাবরেটরিতে কৃষিজাত পণ্য যেমন-ফলমূল ও শাকসবজির কেমিক্যাল, মাইক্রো পুষ্টি বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন ভারী ধাতুর উপস্থিতি এবং পরিমাণগত মান পরীক্ষা করা হবে। প্রোটিন বিশ্লেষণের জন্য জেলডাল এবং প্রোটিন (দহন প্রকার) ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়াও আর্দ্রতা, প্রোটিন, চর্বি, ফাইবার, এ্যাশ ইত্যাদির নমুনা দ্রুত পরীক্ষা করা হবে। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে, যা শাকসবজি, ফলমূল, মাটি, সার, এবং সেচের পানির নমুনায় আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম, লেড ও মার্করি এর মতো ক্ষতিকারক ভারি ধাতু শনাক্তকরণে ব্যবহার করা হবে।

টক্সিকোলজি ল্যাবরেটরি : টক্সিকোলজি হলো গবেষণাগারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এ ল্যাবরেটরিতে কৃষি সংশ্লিষ্ট যেমন- শাকসবজি, ফলমূল, মাটি, সার, সেচের পানি ইত্যাদির নমুনা পরীক্ষা করে নমুনা থেকে কীটনাশক, রাসায়নিক উপাদান, মাইকোটক্সিন, বিভিন্ন কীটনাশকের সক্রিয় উপাদান, এন্টিবায়োটিক, স্টোরয়েড হরমোন, আফলাটক্সিন (B1, B2, G1 & G3) শনাক্ত করা হবে।

লেখক :
১. উপ-পরিচালক (এল.আর), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
মোবাইল : ০১৭১১১৭৪৩৪৫, ই-মেইল :ashamim.uni@gmail.com

২. উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উদ্ভিদ সংগনিরোধ ল্যাবরেটরি, শ্যামপুর, ঢাকা। মোবাইল : ০১৭৩৭৪০৮৯৪৬, ই-মেইল : akazadfahim@gmail.com

Avatar

চাষাবাদ ডেস্ক

About Author

You may also like

মুক্তমত

কৃষিতে নারীর অবদানের প্রকৃত স্বীকৃতি নেই

|| এ. কে. আজাদ ফাহিম || আবহমান কাল থেকে আমাদের এই দেশ কৃষি প্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত। কৃষি একটি মহান
মুক্তমত

কৃষি ডিপ্লোমাধারীরা কেন উচ্চশিক্ষা বঞ্চিত হবেন?

বাংলাদেশে ১৮টি সরকারি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে। আর বেসরকারি পর্যায়ে রয়েছে ১৬২টি। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ছয় হাজারের বেশি পাস করে বের