জগলুল হায়দার
২২ জানুয়ারি সিরিয়ার ঘোটা শহরে রাসায়নিক আস্ত্রের হামলার পর সেইখানে নাইমা আসে হাবিয়া দোযখ। কিন্তু বিধাতার কি লীলা। সেই হাবিয়া দোযখেই চিত্রিত হয় এই জান্নাতি দৃশ্য। এই দৃশ্য মনে করায়া দেয় পিতা ইব্রাহিমের সেই ঘটনার কথা যেখানে প্রজ্বলিত অগ্নিকুণ্ড আল্লাহ মালিকের কৃপায় বেহেস্তের বাগানে রুপান্তরিত হয়।
প্রেমপ্রীতি মায়াদয়াহীন বিশ্বের পরাক্রমশালী শাসকদের তীব্র লজ্জা দিয়া এই কচি মেয়েটা নিজের জীবনের বিনিময়ে তৈরি করে ভালবাসার এই অসামান্য দৃশ্য। একটা মাত্র অক্সিজেন মাস্ক থাকায় নিজের বুকে ধরা ছোটভাই কিম্বা বোনটাকে বাঁচাইতে এই মাসুম বড়বোন সেই মাস্ক তার মুখে লাগায়া শেষমেশ নিজে মৃত্যুর দেশে পাড়ি দেয়। ছোটভাই বা বোনের প্রতি ভালোবাসার এই ঘটনা এক অনন্য নজীর হয়া থাকবো ইতিহাসে। ভালোবাসার এমনি অসীম ক্ষমতা।
হে দুনিয়ার ক্ষমতাশালী পরাশক্তি! হে আধুনিকতাবাদি!! এই বেহেস্তি ভালোবাসার সামনে, এই মাসুম বোনটির বিগত আত্মার সামনে একবার দাঁড়াও। একবার ভাবো ভালোবাসার শক্তিতে এই শিশুর কাছে কতই না ক্ষমতাহীন তুচ্ছ তুমরা। লজ্জিত হও বিমূর বিশ্ব। প্রায়শ্চিত্ত করো। জলদি আওয়াজ তুলো- বাঁচাও সিরিয়া। বাঁচুক মানবতা।
[বয়ান চলতি কথনরীতিতে লেখা]
Powered by Facebook Comments