জাবেল খলিল চৌধুরী
আম গাছে যে পরিমান ফুল আসে তার এক থেকে দুই ভাগ মাত্র ফল টিকে। ফল টিকে থাকার পরিমান যদি আড়াই পার্সেন্ট হয়ে যেতো তাহলে আমের ভারে গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়তো।
গাছ তার সক্ষমতা অনুযায়ী ফল ধারণ করে এবং অপুষ্ট সক্ষমতার অতিরিক্ত ফল প্রাকৃতিক ভাবেই ঝরে পরে। কিন্তু ফলঝরা যদি অস্বাভাবিক হয় তাহলে বুঝতে হবে সমস্যা আছে। সাধারণত পুষ্টি উপাদানের ঘাটতির জন্যই ফল ঝরে। সেক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় অনুমোদিত মাত্রায় নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সালফার (NPKS) + ভার্মি কম্পোস্ট এবং Micronutrients বোরন অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করবেন।
আড়াই -তিন ফুট ব্যাসের টবের চারার জন্য,,, ইউরিয়া ২০ গ্রাম+ ডিএপি৩০ গ্রাম+এমওপি ৩০ গ্রাম, সালফার ৩০ গ্রাম, বোরন ৫ গ্রাম এবং কম্পোস্ট ভার্মি হলে ২ কেজি অন্য টা হলে তিন কেজি।
গাছ মাটিতে হলে উপরে উল্লেখিত মাত্রা ৪ গুন হারে বছরে দুইবার।
আশাকরি ফলঝরা কমে যাবে। কিন্তু তার পরেও ফল ঝরা বন্ধ না হলে প্লান্ট গ্রোথ রেগুলেটর ব্যবহার করবেন। বাজারে এস্টার পিজিআর (স্কয়ার), লিটোসেন, ফ্লোরা(ACI) ইত্যাদি ব্যবসায়িক নামে আছে। প্রতি দশ লিটার পানিতে ১০ থেকে ১২ মি:লি: হারে সমস্ত গাছ, কান্ড, ফল ভিজিয়ে সাত দিন পর পর ৩-৫ টা স্প্রে (সকালে)।
সতর্কতা : কলমের গাছ হলে ৫+ বছর বয়সের গাছে প্লান্ট গ্রোথ রেগুলেটর (PGR) ব্যবহার করবেন। আর বীজের গাছ হলে ৯ বছর বয়সের আগে নয়। কারণ এটি স্প্রের পর গাছের বৃদ্ধি বন্ধ রেখে প্রজননে (ফুল-ফলে) বেশী ফোকাস করে। সোজা কথায় কম বয়সের গাছে স্প্রে করলে গাছের আয়ু কমে।
এই পরামর্শ শুধুমাত্র ফল ধারণ উপযোগী মাতৃ গাছের জন্য চারা গাছে পিজিআর এপ্লাই করা থেকে নিজ দ্বায়িত্বে দূরে থাকবেন। প্লান্ট কেয়ার, ডিজিজ,গার্ডেন প্লানিং, পেস্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি ব্যাপারে সব সময় একজন স্পেশালিষ্ট এর সাহায্য নিবেন। শুভ কামনা।