টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ‘দেখার’ হাওড়ে জলাবদ্ধতাসৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় তলিয়েছে কয়েকশ একর ফসলি জমি। খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।
সপ্তাহখানেক পরেই পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে সুনামগঞ্জ হাওরে। কৃষকের মুখে হাসি থাকার কথা থাকলেও তার এখন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের ‘দেখার’ হাওরের সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাজ, কলাউড়া, উছাগড়িসহ সাতটি গ্রামের ধান তলিয়ে গেছে। বছরের প্রথম ফসল হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। নিরূপায় হয়ে কেউ কেউ কাঁচা ধানই কেটে ফেলছেন।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই কাঁচা কেটে ফেলছি। এটা থেকে ধান পাওয়া যাবে না। গরুকে খাওয়াতে হবে। আরেক কৃষক বলেন, ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লোন করে জমি করেছি। কিন্তু একটা ধানও তুলতে পারলাম না। সব তলিয়ে গেছে। অথচ আর একটা সপ্তাহ সময় পেলেই ধান গোলায় তুলতে পারতাম।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিমল চন্দ্র সোম জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করবো। যাতে তারা সরকারি সহায়তা পায়। এজন্য প্রশাসনকে নিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, এই পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব হলে ফসলগুলো রক্ষা করা যাবে। শান্তিগঞ্জ দিয়ে পানি বের করার প্রস্তাব দিয়েছেন কৃষকরা। আমরা সেই জায়গাটা এখন পরিদর্শন করবো। পরে সিদ্ধান্ত নেবো। সুনামগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমে ধান আবাদ হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমিতে।