বাংলাদেশে কোন মওসুমে কোন আম পাকে? কেমিক্যাল মুক্ত আম খেতে চাইলে জানতে হবে…
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল হলেও উৎপাদন ও বাণিজ্যে, বিশেষ করে ভোক্তাদের চাহিদার ক্ষেত্রে কয়েকগুণ এগিয়ে আছে আম। তাই আমকে ফলের রাজা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
মওসুম শুরু হতে না হতেই পাকা আমের সয়লাব দেখা যায় দেশের ফলের বাজারে। বরাবরই কেমিক্যাল দিয়ে আম পাকানোর অভিযোগ থাকে।
অনেক ক্ষেত্রে কেমিক্যালযুক্ত আমই কেমিক্যালমুক্ত ব্যানারে বিক্রি হয় বাজারে।
আবার দেখা যায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে পাকানো আমের ক্রেতা সংখ্যাও কোনো অংশে কম নয়।
যেহেতু বাইরে থেকে কোনটা কেমিক্যালযুক্ত বা কোনটা কেমিক্যালমুক্ত আম সেটা বোঝা কঠিন।
তাই ক্রেতারা যদি কোন মওসুমে কোন আম পাকে এ বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখেন এবং রাসায়নিক দেয়া আম কেনা থেকে বিরত থাকেন তাহলে অনেকাংশেই অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতারণা থেকে বাঁচা সম্ভব।
আমাদের দেশে বানিজ্যিক ভিত্তিতে ২১ জাতের আম উৎপাদন হয়। এর মধ্যে অর্ধেক আম উন্নত প্রজাতির।
মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ মাস আমের মওসুম থাকে। সবচেয়ে বেশি আম পাওয়া যায় জুন থেকে জুলাই মাসে।
তবে কোন আমটি কোন সময় পাওয়া যাবে সে বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষের সঠিক কোনো ধারণা নেই। আজ আমরা সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করবো।
বাংলাদেশের আমের মওসুমকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
আগাম জাত
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি
মধ্য মওসুমি জাত
জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাই
নাবি জাত
জুলাই মাস থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ
মূলত মে থেকে সেপ্টেম্বর মোট ৫ (পাঁচ) মাস থাকে আমের মওসুম
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি সময়ে পাকে আগাম জাত’র আম।
সেগুলো হলোÑ গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বৃন্দাবনি, গুলাবখাশ, রানীপছন্দ, হিমসাগর, ক্ষীরশাপাত, বারি আম-১ ইত্যাদি।
জুনের মাঝামাঝি থেকে পাকতে শুরু করে মধ্য মওসুমি আম।
সেগুলো হলোÑ ল্যাংড়া, হাঁড়িভাঙ্গা, লক্ষণভোগ, খুদিক্ষীরশা, বারি আম-২, বোম্বাই, সূর্যপুরী ইত্যাদি।
জুলাই মাস থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত পাকে নাবি জাত’র আম।
সেগুলো হলোÑ ফজলি, আ¤্রপালি, মোহনভোগ, আশি^না, গৌড়মতি, বারি আম-৩, বারি আম-৪ ইত্যাদি।