পুষ্টিতে ভরপুর খেজুরের যত ঔষধি গুণাগুণ
খেজুর পুষ্টিতে ভরপুর একটি স্বাস্থকর খাবার। রমযান মাসে ইফতারে খেজুর খাওয়ার প্রচলন থাকলেও খাদ্য তালিকায় সারা বছরই খেজুর রাখা উচিত।
পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি খেজুরে রয়েছে বহু ঔষধি গুণাগুণ।
শক্তির অন্যতম উৎস খেজুরে রয়েছে ৪৪-৮৮% পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেড। যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুরে অত্যন্ত কম পরিমাণে ফ্যাট থাকে। যার পরিমাণ ০.২-০.৫%। তাই খেজুরে ওজন বাড়ার ভয় নেই। এমন কি- ডায়বেটিস রোগীদের ডায়েটে শুকনো খেজুর রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
খেজুরে থাকে ৬ প্রকার ভিটামিন ও এন্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
খেজুরে প্রোটিন থাকে শতকরা ২.৩-৫.৬ ভাগ। উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকে; শতকরা পরিমাণ ৬.৪-১১.৫ ভাগ। যা হজমে সাহায্য করে। রাতে খেজুর ভিজিয়ে সকালে সে পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।
একজন সুস্থ্যমানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের প্রায় ১১ ভাগ পুরণ করে খেজুর। তাই রক্ত স্বল্পতা দূর করতে রোগীদের প্রতিদিন খেজুর খাওয়া উচিত।
প্রতিটি খেজুরে ২০-২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে। যা উচ্চ রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে।
খেজুরে থাকে- ফ্লোরাইড। যা দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। শিশুদের দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে।
খেজুরে আছে-সেলেনিয়াম যা ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।
খেজুরের মধ্যে ভিটামিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজসহ প্রায় ১৫ প্রকার মিনারেল ও সল্ট আছে।
নিয়মিত খেজুর খেলে- হৃদস্পন্দন ঠিক রাখতে সহায়তা করে, রেটিনা ভালো রাখে, ত্বকও ভালো রাখে।
এছাড়াও গলা ব্যাথা, বিভিন্ন ধরনের জ্বর, সর্দি, অন্ত্রের কৃমি ও ক্ষতিকারক পরজীবী প্রতিরোধে ফলটি বেশ উপকারি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও প্রতিরোধ করতে পারে খেজুর।
পুষ্টি ও ঔষধি গুণ বিবেচনায় সবাইকে প্রতিদিন ৫-৬ টি খেজুর খাওয়া উচিত। ডায়বেটিস রোগী ও যাদের ওভার ওয়েট সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ২-৩ টি খেজুর খাওয়া উচিত।
মজার ব্যাপার হচ্ছে- গত ৪০ বছরে সারা পৃথিবী জুড়ে খেজুরের উৎপাদন বেড়েছে ৩ গুণ; অপরদিকে জনসংখ্যা বেড়েছে ২ গুণ। তাই আমরা বিশ্বাস করি, খেজুর মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত।